👉পর্ব : 1

✍ বিষয় : মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদম

বাংলায় মেশিন লার্নিং শিখুন এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে আমরা গত কয়েক পর্বে বলেছিলাম


তবে শুরু করার আগে আমরা শিখব কেন অ্যালগরিদম শেখা দরকার?

কেন আমরা অ্যালগরিদম শিখব?

একটা ভাল আপেল কেনার উদাহরণ থেকে আমরা একটু বোঝার চেষ্টা করি, অ্যালগরিদম কেন দরকার? মনে করি, একজন আপেল বিক্রেতার কাছে অনেকগুলো আপেল আছে। সেই আপেলগুলো থেকে আমি দেখে দেখে কিছু ভাল আপেল কিনব। তাহলে,আমার কাজ হচ্ছে সবচেয়ে ভাল আপেলগুলো খুজে বের করা। ভাল আপেল কিনতে হলে আপনার আগে থেকেই অভিজ্ঞতা থাকতে হবে / ভাল আপেল চিনতে হবে।

ধরে নিলাম, আপনি জানেন.........

  • উজ্জ্বল লাল বর্ণের আপেলগুলো ফ্যাকাসে(অনুজ্জ্বল) লাল বর্নের আপেলের চেয়ে ভাল।
  • ছোট এবং উজ্জ্বল লাল বর্ণের আপেলগুলো মাঝে মাঝে অর্ধেক মিষ্টি হয়।
  • ছোট ফ্যাকাসে আপেলগুলো একদমই মিষ্টি হয় না।
  • সবুজ আপেলগুলো অনেক রসপূর্ণ হয় এবং
  • সবুজ আপেলগুলো লাল আপেলগুলোর চেয়ে বেশী স্বাদের হয়।

এখন যদি আপনাকে জিজ্ঞাসা করা হয় ভাল আপেল পছন্দ করার জন্য একটি কম্পিউটার প্রোগ্রাম লেখেন।


আপনি হয়তো নিচের নিয়ম/অ্যালগরিদম অনুসরণ করবেন-

```html If (আপেলের রংঃ উজ্জ্বল লাল) && (আপেলের সাইজঃ বড়) - আপেল মিষ্টি হবে। if (আপেল সবুজ) - আপেল রসালো হবে। ```

কিন্তু আপনাকে যদি এরকমভাবে আপেলের পরিবর্তে কমলা বা আম কিনতে বলা হয়, তাহলে আপনাকে কিন্তু জানা বৈশিষ্ট্যগুলো পরিবর্তন করতে হবে। কারন অন্য ভাল ফলের কি কি বৈশিষ্ট্য থাকে তা আলাদা আলাদা ভাবে নোটডাউন করতে হবে। এটি করতে অনেক সময় এবং গবেষণার দরকার হতে পারে। আবার আপনাকে আলাদা আলাদাভাবে কোডও লিখতে হবে। এই সমস্যাগুলো দূর করতেই মেশিন লার্নিং এর বিভিন্ন অ্যালগরিদমের সৃষ্টি হয়েছে। যেখানে কোড লেখার পরিবর্তে ফলের বৈশিষ্টগুলো ডাটা (উপাত্ত) আকারে অ্যালগরিদমে দিলে, অ্যালগরিদমই বৈশিষ্ট্যগুলো বিশ্লেষণ করে লজিক্যালি একটা আউটপুট দিবে। তাই আমরা বলতে পারি, মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদম হচ্ছে একপ্রকার অ্যালগরিদম যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডাটা থেকে শিখতে পারে এবং একটি প্রোগ্রামকে চমৎকার করে তোলে।

এই মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদম গুলোর রয়েছে-

  •  Training Phase.
  •  Testing Phase.
👉 Training Phase-এ করনীয় কাজ:

Training Phase-এ আমরা বিভিন্ন আপেলের বৈশিষ্ট্য- যেমন: রং, সাইজ, উৎপত্তি স্থান ইত্যাদি (Feature Variable) গুলোকে ইনপুট ডাটার ভিত্তিতে, আপেলগুলোকে টক, মিষ্টি আর রসালো তিন ভাগে ভাগ করে (Output Variable) অ্যালগরিদমে ইনপুট হিসেবে দেই। অ্যালগরিদমটি ইনপুট ডাটা থেকে শেখে কী টাইপের Feature Variable থাকলে আপেলটি টক / মিষ্টি অথবা রসালো হবে।

👉 Testing Phase-এ করণীয় কাজ:

Testing Phase-এ আপনি যখন পরবর্তীতে আপেল কিনতে যাবেন, তখন শুধু আপেলগুলোর Feature Variable অ্যালগরিদমে ইনপুট দিব। কিন্তু আপেলটি মিষ্টি, টক নাকি রসালো তা বলে দিবো না। মডেল নিজেই Training Phase থেকে শেখা ডাটার ভিত্তিতে বলে দেয়, আপনার ক্রয়কৃত আপেলগুলো কতটুকু মিষ্টি/টক/রসালো ।

“ এই একই অ্যালগরিদম আপনি অন্যান্য ফল (যেমন- কমলা, কলা ও আম)কেনার ক্ষেত্রেও কিন্তু প্রয়োগ করতে পারেন ”

আপাতত আজকে এ পর্যন্তই । পরবর্তী পোস্টে আমরা বেসিক মেশিন লার্নিং এলগোরিদম গুলো নিয়ে ধাপে ধাপে বিস্তারিত আলোচনা করবো